শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অনলাইনে নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখা

অনলাইনে নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখা বা ব্লক করা কোন ওয়েবসাইটে যেতে আপাতত একটা টুল ’Tor Browser’ বা ‘টড় ব্রাউজার’ নিয়া দু-একটা কথা যারা এখোন এর সাথে পরিচিত না তাঁদের জন্য। অনলাইনে নিজস্ব কিছু স্ট্রাটেজি আছে হয়ত আপানর। যেমন:

১। আপনি যদি স্বনামে ফেইসবুক/ ব্লগিং করেন এবং অফলাইনে আপনার নিজের যা পরিচয় তা অনলাইনে প্রকাশ করেই ফেইসবুক/ ব্লগিং করেন তবে ধরে নেয়া যায় আপনার পরিচয় গোপনের টেনশন নাই। কিন্তু ধরেন আপনি বাংলাদেশ থেকে ‘আমার-দেশ’ পড়তে চান যেটা বাংলাদেশে ব্লক করা (ব্লকিং এর কাজটা করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশস রেগুলেটরি বোর্ড- বি টি আর সি। অর্থাৎ আপনারা যাদের কাছ থেকে ইন্টারনেটের লাইন নিছেন তারা যদি বাংলাদেশের বিটিআরসির মাধ্যমে তাঁদের রিকুয়েস্ট পাঠায় তবে আপনি যখন আপানর ওয়েবব্রাউজারে www.amardeshonline.com লিখবেন সেইটা বি টি আর সি তে এসে দেখবে যে এই পেইজ ব্লক। সুতরাং আপানর পাঠানো রিকোয়েস্টটা আর ফরোয়ার্ড করা হবে না। ( আপনি আপানর ব্রাউজারে ‘Page not found’ বা এইজাতীয় কিছু বার্তা দেখতে পাবেন)। কিন্তু আপনি যদি ‘Tor Browser’ ব্যাবহার করেন তবে আপনি যে কোনও ব্লক পেইজও এক্সেস করতে পারবেন, কারণ 'টড় ব্রাউজার' আপনকে এমন একটা ভিন্ন আইপি অ্যাড্রেস দিবে যে অ্যাড্রেসটা কোনও ব্লকিং এর আওতায় নাই। ধরেন জার্মানির একটা আইপি। সুতরাং টর ব্রাউজার থেকে আপনি যেকোনো ওয়েবপেইজ এ্যক্সেস করতে পারবেন।

২। আপনি নিজের নাম, পরিচর গোপন করেই অনলাইনে লিখতে চান। আপনি একটা ছদ্ম নাম নিলেন। কিন্তু আপনার ব্লগ কর্তৃপক্ষ আপোষ করলে বা সরকারের চাপে বাধ্য হলে (বাধ্য কারার মত কোনও আইন সরকারের নাই) আপানর ইমেইল অ্যাড্রেস, আইপি অ্যাড্রেস থেকে আপনাকে অল্প সময়ের মধ্যেই বের করে ফেলা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে ‘টড় ব্রাউজার’ বেশ কাজের। অনেক ব্লগে /ফেইসবুকে লিখতে হলে আপনাকে একটা সঠিক ইমেইল আইডি দিতেই হয়। কারণ ঐ ব্লগ/ফেইসবুক থেকে আপানকে একটা ভেরিফিকেশ কোড পাঠানো হয় আপানর ইমেইলে। আবার অনেক সাইটে লিখতে হলে রেজিস্টার্ড না করলেও চলে। আপনি ‘টড় ব্রাউজার’ থেকেই একটা নতুন ইমেইল আইডি খুলুন ( কারণ, শুধু আপানর ইমেইল আইডি থেকেই বের করে ফেলা যাবে কোন আইপি থেকে ইমেইল এ্যাড্রেস টা খোলা হয়েছিল ইত্যাদি খবর। আপনি যদি মেইল আইডিটা কোনও অজানা সাইবার ক্যাফে থেকে খুলে থাকেন যাদের কাছে আপানর কোনও তথ্য নাই বা ঐ আইডি আর কোথাও কোনও দিন ব্যবহার করে না থাকেন এবং ঐ ইমেইল আইডির সাথে সংশ্লিষ্ট কোনও তথ্য আপানর পর্যন্ত ট্রেস না করা যায় তাহলে আপানর পুরাতন মেইল আইডি নিরাপদ। কিন্তু সত্য কথা হল আমাদের মোটামুটি সবাই সকল কাজে একই মেইল আইডি ব্যাবহার করার দরুন সাইবার পুলিশরা সহজেই আইডির ফুট-প্রিন্ট দেখে বের করে ফেলতে আমাদের আসল পরিচয়। সুতরাং 'টড় ব্রাউজার'এ বসে একটা নতুন ইমেইল আইডি খোলার সিদ্ধান্তটা ভাল যদি নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা দরকারি হয়)। এরপর 'টড় ব্রাউজার'এ বসে ছদ্মনাম দিয়ে আপানর পছন্দের ব্লগে/ফেইসবুকে রেজিস্টার করে ফেলুন। এমন কোনও তথ্য দিবেন না যাতে আপনাকেই ট্রেস করা যায়। বসবাসের শহর, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ইত্যাদি কোন ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না।

................................................................................................

টড় ব্রাউজার কি?

অনলাইনে আপনার আইপি গোপন রাখবে এমন সফটওয়্যার।

যা করবেন?

১) Tor Project এর পেইজে যানঃ> www.torproject.org
২) ‘Download TOR’ এ ক্লিক করুন।
৩) আপানর অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী (ডিফল্ট উইন্ডোজের জন্য আসবে) ডাউনলোড করুন।
৪) একটা কমপ্রেসড ফাইল (জিপ ফাইল ...) ডাউনলোড হবে। ফাইলটাকে আন-জিপ করুন। আন-জিপ করার পরে যে নতুন ফ্লোল্ডারটা তৈরি হবে তার মধ্যে ‘Tor Browser’ নামের ফাইলটা চালু করুন।
৫) একটু সময় দিন । একটা প্রোগ্রাম চালু হবে যার নাম ‘Vidalia’ এর কয়েক সেকেন্ড পরেই একটা ব্রাউজার চালু হবে।
ব্যাস শেষ। অ্যান্যোনিমাস হয়ে অন্তর্জালে বিচরণ করুন।

কিছু সতর্কতা !!!:

১) Flash, RealPlayer, Quicktime, and others ব্রাউজার প্লাগিংস ইন্সটল করবেন না। এইগুলো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। flash ব্যাবহার করার কারণে বাই ডিফল্ট www.youtube.com এর ভিডিও গুলা ব্লক করা। তবে যে ভিডিওগুলা টর ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড কারাটাকে অনুৎসাহীৎ করা হয়। এইখানে নিরাপত্তা ঝুকি থাকে। আপানি ডাউনলোড করতে চেষ্টা করলে একটা ওয়ার্নিং পাবেন। এই রকম ওয়ার্নিং পেলে তা কক্ষনোই উপেক্ষা করবে না। যদি একান্ত করতেই হয়, আগে ফাইল ডাউনলোড করুন। টড় বন্ধ করুন। ইন্টারনেট বন্ধ করুন। তারপর সেটা চালু করুন। (এই সতার্কাবস্থা খুবই বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রের জন্য, আমাদের দৈনন্দিন পড়ার-লিখার কাজে এইগুলা বিশেষ না ভাবলেও চলবে)

২) টর ব্রাউজারে অনেক ধীর গতি পাবেন। এইটা ভারী ফাইল দেখা বা ডাউনলোড করার কাজের জন্য উপযোগী না। এইখানে আরও পড়ুন> https://www.torproject.org/download/download.html.en

** আপানর স্মার্টফোনে ব্যাবহার করতে পারেন। অ্যানরয়েডের জন্য 'Orbot' >> https://play.google.com/store/apps/details?id=org.torproject.android

** আইফোনের জন্য 'Onion Browser' >> https://itunes.apple.com/us/app/onion-browser/id519296448?mt=8

( পোষ্টটি কপি-পেস্ট করে সবার সাথে শেয়ার করুন )














শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৩

কম্পিউটার কীবোর্ডের ১২টি ফাংশন কীর ভিন্ন ভিন্ন কাজ

আচ্ছালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন। আমি ও আছি ভালোই আলহামদুলিল্লাহ্। যাই হোক আজ আমি যেই পস্ট টির কথা বলছি সেটি সম্পকে অনেকে হয়তো জানেন, যারা না জানেন তারা দেখে নেন কাজে লাগতে পারে।
আমাদের কম্পিউটার কিবোর্ডের উপরের দিকে F1, F2, F3 এরকম F12 পর্যন্ত ১২টি ফাংশন কী দেয়া আছে। এর প্রত্যেকটির একেকটি ভিন্ন ভিন্ন কাজ রয়েছে। তাহলে চলুন এক এক করে দেখে নেই কাজগুলোঃ
আমাদের কম্পিউটার কিবোর্ডের
F1 : এই বাটন টি যেকোণ প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার এর জন্য সাহায্যকারী কি হিসেবে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ আপনার একটিভ উইন্ডোর জন্য হেল্প পেইজ দেখতে হলে এই বাটন টি প্রেস করলেই চলবে।
F2 : Rename করার জন্য শর্টকাট কি হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। আপনার সিলেক্টকৃত কোণ ফাইল বা ফোল্ডার রিনেম করতে সিমপ্লি এই বাটন টি প্রেস করুন। তাছাড়াAlt+Ctrl+F2 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের একটি নতুন ডকুমেন্ট খুলতে পারেন। আরেকটা ব্যবহার আমি করে থাকি আর তা হল ওয়ার্ডের প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা। তার জন্য জাস্ট ctrl+f2 চাপুন।
F3 : শুধুমাত্র F3 চেপে আপনি যেকোন প্রোগ্রামের বা ডকুমেন্টের সার্চ অপশান আনতে পারেন। ঠিক এখুনি কি টা চাপুন তো আর দেখুন আপনার ব্রাউজারের ডান পাশে একটি সার্চ বক্স এসেছে! shift+f3 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের কোণ শব্দকে বড় হাতের থেকে ছোট হাতের বা ছোট হাতের থেকে বড় হাতের করতে পারেন। এবং সিলেক্টকৃত ঐ শব্দটির প্রথম অক্ষর যদি বড় হাতের রাখতে চান তাহলেও shift+f3 চাপুন।
F4 : এই বাটন দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের last action performed Repeat করা যায়। Alt+F4 চেপে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়। Ctrl+F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা হয়।
F5 : মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে find, replace, go to উইন্ডো খোলা হয় এই বাটন চেপে। যেকোণ পেজ রিফ্রেশ করতে এই পেজটিই ব্যবহার করা হয়। পাওয়ার পয়েন্টে স্লাইড শো শুরু করা এবং বন্ধ করার জন্য এই বাটন টি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
F6 : মাউসের কার্সরকে ইন্টারনেট ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে নিয়ে যেতে এটি চাপলেই হবে , এখুনি ট্রাই করে দেখুন। Ctrl+Shift+F6 চেপে ওয়ার্ডের সক্রিয় ডকুমেন্ট রেখে অন্যটি ব্যবহার করা যায়।
F7 : চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখা বানান ও গ্রামার ঠিক করা হয় এবং মজিলা ফায়ারফক্সের Creat browsing চালু করা হয়। Shift+F7 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনো নির্বাচিত শব্দের প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, শব্দের ধরন ইত্যাদি জানার ডিকশনারি চালু করা হয়।
F8 : বিশেষ করে কম্পিউটার চালু করার সময় এই কি টী কাজে লাগে । সাধারণত উইন্ডোজ safe mood এ চালু করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
F9 : Quark 5.0 এর মেজারমেন্ট টুলবার ওপেন করার জন্য এটী কাজে লাগে।
F10 : এটি চেপে ইন্টারনেট ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয়। Shift+F10 চেপে কোনো নির্বাচিত লেখা বা লিংক বা ছবির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করার কাজ করা হয়।
F11 : আপনার সামনে স্ক্রিনে একটিভ উইন্ডোটিকে ফুলস্ক্রিন করতে এবং নরমাল মুডে আনতে এই বাটন টি চাপলেই হবে। এখুনি দেখুন।
F12 : F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের Save as উইন্ডো ওপেন করা হয়। Shift+F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট সেভ করা হয়। এবং Ctrl+Shift+F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট প্রিন্ট করা হয়। বর্তমান সময়ে আমরা সবাই অভ্র ব্যবহার করে থাকি, আর এই অভ্র সফটওয়্যার এ বাংলা এবং ইংরেজী ভাষা সিলেক্ট বা পরিবর্তন করতে ডেস্কটপ কম্পিউটারে শুধু মাত্র f12 চেপে বাংলা থেকে ইংরেজীতে বা ইংরেজী থেকে বাংলা মুড এ আসতে পারবেন। আর ল্যাপটপে fn+f12 চাপতে হবে।
ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ

আসুন সবাইকে জানাইঃFacebook7Google+0Twitter2EmailDiggLinkedIn0Pinterest0Reddit0StumbleUpon0